১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
তত্ত্বগতভাবে সেক্যুলারিজমের ধারণা কয়েক শতাব্দী ধরে পাশ্চাত্যে এবং তারপরে প্রাচ্যে বিকাশ লাভ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে বাস্তব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে সেক্যুলারিজমের স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুরই অবদান। শেখ মুজিব বাস্তব ঘটনাবলি দেখে উপলব্ধি করেছিলেন, সাম্প্রদায়িকতা, জাতিব
যাঁরা দূরবর্তী লক্ষ্যনির্ভর ভবিষ্যৎ দেখতে পান, তাঁরা ভিশনারি বা দূরদর্শী। বর্তমানের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁরা ভবিষ্যৎকে দেখেন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধীসহ যাঁরা স্বাধীনতা ও মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শোনার জন্য সকাল থেকেই রেসকোর্স ময়দানে জমায়েত হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। শুধু ঢাকা শহর নয়, আশপাশের এলাকা থেকেও আসতে থাকে জনতার স্রোত। বঙ্গবন্ধু যখন সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন, তখন রেসকোর্স পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। এটা এখন সবারই জানা যে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য একদিকে
১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করলেন, অচিরেই শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বেসামরিক সরকার গঠিত হবে। এরপর বলা হয়েছিল ঢাকায় ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। এরপর মন্ত্রিসভা বিলোপ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিষয়টাকে নির্বাচন-পরবর্তী বেসামরিক সরকার গঠনের
পৃথিবীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভাষণের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আমার ধারণা, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির সঙ্গে অন্য কোনো ভাষণের তুলনা করা সম্ভব নয়। তিনি যখন ভাষণটি দিয়েছিলেন, তখন পুরো দেশ সামরিক শাসনের আওতায়; প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সবে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিল
দেশের উচ্চশিক্ষা বিস্তারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনন্য ভূমিকা পালন করছে। অবদান রাখছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরিতেও। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধীরে ধীরে উচ্চশিক্ষার চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এর চাপ পড়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর। ফলে বিষয়, আসনস্বল্পতাসহ বিভিন্
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটা ঘটনা। এইচএসসি পর্যন্ত স্বপ্ন যা-ই থাকুক, মা-বাবা কিংবা আত্মীয়স্বজন যে ধারণাই পোষণ করুন না কেন, সবকিছু নির্ভর করছে এক-দেড় ঘণ্টার এই ছোট্ট পরীক্ষার ওপর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এমনিতেই মানসিক চাপের বিষয়। পারিপার্শ্বিক নানা কিছু সেই চাপ অন
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শুরুটা ২০০৩ সালে। কিন্তু কোয়ালিটি এডুকেশন, ভৌত কাঠামোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান। ২০১৯ সাল থেকে ৬ তলা সুরম্য ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চ
অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক করপোরেট জগতে সাফল্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো মানসম্পন্ন এমবিএ ডিগ্রি লাভ করা। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ইন্ডাস্ট্রি চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে এমবিএ কোর্স পরিচালনা করে।
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল তৈরি এবং উচ্চতর গবেষণার জন্য দেশে পাঁচটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন বা ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান নিশ্চিত হতে হবে। শিক্ষার কোনো শর্টকাট পন্থা নেই। জীবনে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্ন: আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তির জায়গা কোনগুলো? উত্তর: মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসটি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শীর্ষ ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে। এ ছাড়া বিশ্বের
এই মেডিকেল কলেজ রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, অর্থাৎ সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের একটি চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম ব্যাচ ভর্তি করা হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, বিএমডিসি অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন করা একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ